दहलीज़
Dahleez
A web magazine run by a group of poets from New Delhi
Editor: Pijush Biswas, Contact: poet.area@gmail.com, Mob: 9871603930 Time Spent on Page:

Sunday, February 2, 2020

ঔরশীষ ঘোষ

সহজাত শূন্যতার প্রতি



১!

কাঠবেড়ালীর ল্যাজে যেটুকু পশম, তারও বেশি দাবী করেছিল প্রেম। ময়ূর পেখম জুড়ে আজো হেমন্তের ছোপ। বোশেখির ঝড়ে অই তেঁতুল কুড়ানি, আমের মুকুল ছোঁয়া হাওয়ায়, হারিয়েছে

শঙ্খের আঙ্গিকে ফাঁপা বাঁশে ফুঁ দিয়েছে মেয়ে।

সেখানে বাসর সাজে হেমন্ত শিখায়

২!

জলের আখরে লিখে রাখি প্রেমের জানাজা।

মিছিলের পথ থেকে কম্পাসের কাঁটা ঘুরে যায় দেহবৃত্তে। মশারি মুড়নো দুটো দেহ বিষ ঢালে, বমি করে... জীবনের অপার বিস্ময় ছিল নিম্নমুখী।

এখানে তারের সাথে তার জুড়ে যায় বিদ্যুৎ প্রবাহে

এখানে পাতার সঙ্গে পাতার ছোঁয়ায় অরণ্যে আগুন জ্বলে ওঠে

৩!

নিয়মিত খেয়ালের কাছে চোখ ঝুঁকিয়েছি। রক্তপাতহীন এক মৃত্যু, শান্তিপ্রিয় মৃত্যু, দুঃস্বপ্নের ভিতর লাল শাদা ফ্রক পরিহিতা কিশোরীর মত ছুটে যায়। কয়েকটি প্রজাপতি তাড়া করেছিল তাকে। ডানায় পেরেক গাঁথা বহু প্রজাপতি জাদুঘরে শুয়ে, এমন দিনের অপেক্ষায়। বঁড়শি বিদ্ধ মাছের সাঁতার, ঝলসানো পাখির পালকহীন উড়ান, এমন শবযাত্রায় তুচ্ছ মনে হয়

৪!

আনাড়ির মত বালিচোরায় পা ডুবিয়ে এসেছি। স্বপ্নের যে মৃত্যু, আজকাল বড় স্বাভাবিক সেই বিচরণ৷ স্বপ্নের ভিতর অন্য এক মৃত্যুচিত্র আছে৷ মিথ্যে আছে।আছে লম্বা আর চ্যাপ্টা এক ভয়। জলের ভিতর থেকে ভেসে ওঠা সামান্য বুদবুদ। সূর্যাস্তের মত গনগনে অভিমান। তরল মোমের মত রাগ৷ ম্যানিকিন

৫!

অঙ্কের জটিল ভুলে আরো খোলামেলা হলে। নুইয়ে যাওয়া আলো চমকিত হল শেষবার৷ দূরে বেড়ালের অস্ফুট গোঙানি আমাদের জানিয়ে দিয়েছে অসম্ভব। একটি পালক শুধু ঘুরপাক খাচ্ছে ফ্যানের হাওয়ায়। ত্বকের মসৃণে লেগে থাকা শ্রম কণা ফুটিয়ে তুলেছে প্রলয়ের ছবি৷ জ্বলন্ত ধূপের মত সুগন্ধি উগড়ে ছাই হয়ে যাবো কথা ছিল৷ কখন যে পায়ের তলায় শেকড় জন্মালো

৬!

বুকের জুড়ুল হয়ে, কপালের কাটাদাগ, অথবা যে স্বপ্নে ভুতুড়ে খড়ম চলাফেরা করে- তারো দূরে তপস্বী বিড়াল, বৌদ্ধ বা নাবিক হতে চায়। ভুলের বাহানা দিয়ে কত কারচুপি গোপন করে রাখি৷ গাছের চারায় শিলা বৃষ্টি হয়ে যেন না ফেরো কখনো, প্রার্থনা করেছি!

করেছি কী?
মনে নেই বসন্তের সন্ধ্যারাতে নদীজল না চাঁদের আলো, কাকে বেশি বিশ্বাস করেছি

আধোভেজা ঘুম জুড়ে নামা অপরূপ মৃত্যু সেজে,

করুণা করেছ বহুবার

৭!

বেঁচে থাকা ছাড়া আর কোনও গতি ছিল না।

মৃতের কর্কশ উপস্থিতি ভুলে যায় সক্কলে। জন্মের অভ্যাস তুমি বাজিয়ে দেখেছো। নিকটস্থ টিলা পাহাড়স্বরূপ, ছোট চোট ঢেউ তাই সেইদিন ঢেকেছিল সূর্যের প্রাচীন মুখ

এসময়ে আমাকে ভাল্লাগেনা বলে চুমু খাও, প্রচণ্ড প্রেমের কাছে নতজানু করে পোঁদে লাথি মারো- জোয়ার ও ভাসান এখন পরিচিত।  বিচলিত করে না, কয়েন যেদিকেই ফিরুক, টস তবু জিতে যাবো দুজনেই

৮!

ব্রহ্মাণ্ডের কোলাহল ফুটে ওঠে শরীর হরফে। শুকনো হিমের দাগ লেগে আছে মৃত পাপড়ির গায়ে। পৃথিবীর সকল সৌন্দর্যে মানুষের রক্তছিটে... তবু

যৌনতার ইতিহাস লেখা শেষ হয়নি এখনো, আর

দাসত্বের অপবাদ মুছতে পারেনি পৃথিবী

৯!

জ্যোতস্নার কাফেন দিয়ে ঢেকে রাখো দেহের মর্মার্থ। যোনির ভিতর ফুটে আছে কার্তুজ গন্ধের ফুল। সমস্ত বিপ্লব ওইখানে থমকে দাঁড়ায়৷ দুই হাঁটু ফাঁকে সূর্যাস্তের রং ঘুলে দিলে। ক্যানভাস গোঙানির সুরে চায়, স্যারিডন৷ কবিতার বই। প্রেতের শহর

১০!

কালার ব্লাইন্ড, তাই শাদা আর কালো চিনতে শিখেছি। যা তুমি ধূসর বল, আমি পুরুষের বা নারীর প্রত্যাশা ভেবে উহ্য রাখি৷

সিল্করুট তবু ছিল

একমাত্র আদানপ্রদান

শেষ বিনিময়

2 comments:

  1. ৪ , ৮, ৯ বাদে ভালো লাগল বেশ। ১০ নম্বরটা সুপার্ব।

    ReplyDelete

সম্পাদকীয়

পীযূষকান্তি বিশ্বাস দেহলিজ ফিরেছে পঞ্চম সংখ্যা হয়ে । দিল্লির নিজস্ব রঙে । ফিরে এসেছে ভাইরাস আর প্রতিহিংসার প্রচ্ছদে । তার উপরে এমন এক...