दहलीज़
Dahleez
A web magazine run by a group of poets from New Delhi
Editor: Pijush Biswas, Contact: poet.area@gmail.com, Mob: 9871603930 Time Spent on Page:

Sunday, March 8, 2020

অর্ঘ্যদীপ রায়

কবিতা




(১)

একটা ফ্রিজে সাজিয়ে রাখি
নীলচে আলোর শীত
ধুলো আলোর নিশি প্রহরে
ফিলামেন্ট আঁচিয়ে নেওয়া ভালোবাসা।
যত দূরে যাই একা একা
তত মাইলস্টোন মুখস্থ হয়ে যায়।
নাতিশীতোষ্ণ দুপুরে
তুমি থাকলে
উত্তাপ শুষে নিলো
কুলুঙ্গির পাথর।
একটি আলাপী ময়ূর
এসে বসলো অপাঙ্গময়তায়।
নিটোল হয়ে আসা স্থাপত্য
কিংবদন্তী হয়ে আসা শৈলী
তোমার কাছে নদী হয়ে আসে।
যদি কবিতার মানে কেউ বুঝিয়ে দিতো
কেউ রাখতো হাত রক্তহীন মুখগুলিতে
এসো, কোনো ঈষৎকুসুম
খেলা খেলতে খেলতে
একটি নতমুখ উদ্ভিদকে প্রশ্ন করে বসি,
কলসপত্রী চেতনাগুলি তুমি
কেন পাংশুটে করে রেখেছো?
কেন বিকেল এলো
তবু তার এবড়ো খেবড়ো তিলগুলি
টিপটিপ করে ঝরে পড়লোনা।
কেন হিজল শীতেও
এমন চাদর কেউ
বাসি দাঁতের প্রান্তে
আদর রেখে যায়।

(২)
নিচে জ্বালিয়ে রাখা মোমের শীতগুলি
প্রশ্ন করছিলো আমাকে
কেন এমন অঘ্রান আড়ালে রেখে যায়
ভাবী নক্ষত্রগুলির ধুলো-আলো-প্লাগ।
নৈর্ঋত শিশুটির মাজুলি মেঘ
কেন থাকবে পড়ে অবহেলে
যে মাধুকরীতে ব্রেড পাউরুটি হয়ে ওঠে
তার সুবাসিত ছায়ায় ক্লান্ত হয় প্রহর।
একটি আমিকে পরাজিত করে চলি
আরেকটি আমি
একটি ডেনিমের আলোয় রজনীগন্ধা রাঙাই
একটি নিবে আসা শাঁখে প্রতিফলন শুনি চাঁদের।
যে চাবি তোমায় দেওয়া আছে
তার সদ্ব্যবহার শেখোনি তুমি
যে আলমারিতে ঘুণ ধরেছে
তার কারণে আমি বাসা বদলাই।
একটি নদী এসেছিলো নিভৃতে
তাকে গায়ে আমি চাদর পরিয়ে দিয়েছি
একটি বালির অববাহিকায়
স্নেহ পোহাচ্ছিল গোখরোশিশুটি।

(৩)
একটি মেদুর প্রশ্ন রেখেছিলাম
বালিয়াড়িতে
কয়েকটি মলাট জুড়ে ভাস্বর হয়ে থাকা
কলাপী
অথবা মাৎসর্য পেরিয়ে আসা দিনকালকে
শিরস্ত্রাণে রাখা যায়।
যে আলোর কোনো শিকড় থাকেনা কৈশিক
যে ধুলোর বাগানবাড়িতে থাকেনা কোনো ফুটপাথ
এমন সজল দিনগুলি তোমার অপাঙ্গে
মিথোজীবিতা এঁকে দেয় খুব।
যার তরল ভালোবাসায় কাজলময় হয় ক্রন্দসী
যার কেটলি মুখে বাষ্প এঁকে যায় তৃণভোজী ভালোবাসা
এমন নিবিড় রাতগুলি পর্দাময়তায় সাজিয়ে রাখে
কয়েকটি বিষাদপ্রধান নতজানু রাগিনী।
উজ্জ্বলস্মিতা মানবী,
এমন পৃথুলা দিন ছেড়ে কোথায় রেখে আসি তোমায় ?
ঠিকানাহীনতার কোনো হরফ থাকেনা
একটি পাতা পড়ার শব্দে
অবচেতন সুপ্তোত্থিত হয়ে আসে,
পাড়া জুড়োলেও উত্তাপ কমেনা
লিকার চায়ের কাপে।

1 comment:

  1. ভালো লাগল। তবে মনে হয়, কথা কিছু বেশি হয়ে গেছে। না-হলে আরও ভালো লাগত। আসলে ভালো লাগার তো কোনও শেষ নেই।

    ReplyDelete

সম্পাদকীয়

পীযূষকান্তি বিশ্বাস দেহলিজ ফিরেছে পঞ্চম সংখ্যা হয়ে । দিল্লির নিজস্ব রঙে । ফিরে এসেছে ভাইরাস আর প্রতিহিংসার প্রচ্ছদে । তার উপরে এমন এক...