दहलीज़
Dahleez
A web magazine run by a group of poets from New Delhi
Editor: Pijush Biswas, Contact: poet.area@gmail.com, Mob: 9871603930 Time Spent on Page:

Sunday, March 8, 2020

দেবযানী বসু

গাছের ঠিকুজীবিচার

 

 

 

চঞ্চল প্রজাপতিরা রোশনাই দিচ্ছে। প্রকৃত আলো। আমাদের যাবতীয় হারিয়ে যাওয়া চিঠি ওদের ডানায় লেখা। পড়ে নেব অবিরল বৃষ্টি ভেজা দিনে। মৌমাছির বিদ্যুৎ চুরি হয়েছিল। মৌমাছির কান্না থেকে চোখের সরোবর অবধি সুড়ঙ্গ কেটেছি। শকটটানা ঘোড়াদের ঘামজল মুখে পড়ছে। নক্ষত্রের নোনতা জল মুখে পড়ছে। গাছের স্বাধীনতা কপালে লটকে আছে। মৃতকপালে জাঁকিয়ে বসেছে ত্রিনয়ন। শুঁয়োপোকার বচন ভুলে যাই মাঝে মাঝে। শুঁয়োপোকার পায়ে পায়ে দ্বিতীয় সুযোগটি চলে গেছে।

ময়নাপাখির জামা কেনার চুক্তি


অবিরল বৃষ্টির দিনে পাখিরা বধিরতায় ছটফট করছে। পটকা ফাটিয়ে জননীর যোনি ছিন্নভিন্ন করা হয়। প্রতিটি অক্সিজেনের নল আজকাল আমোদগেঁড়ে। হাসপাতালে হাসপাতালে মেলামেশা পছন্দ হচ্ছে না কারো। মুক্তপাখি ও বন্দি পাখিদের নিয়ে আলোচনা সভা প্রায়ই বসে। হাঙরঘেরা জঙ্গল গুগল ম্যাপ থেকে হারিয়ে গেছে। যাদের দিকে নদী নষ্ট করেছে জমি তারাই নয়াচর পাচ্ছে গোপনে। বিস্কুট ও ফানুস আগাম সতর্কতা জানে। মৃত হৃদয় গাছেরা ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে। অফিসে প্রায় প্রতিটি টেবিলে থাকে পোষা ময়নাপাখি। তাদের জামা কেনার চুক্তি  মাইকে প্রচারিত হয়।

জলের নিচেকার মুরগিরা


মৃত জেটির গায়ে কুয়াশার লম্বা লোম। পূর্ব দিকের নদীর জরায়ুতে পচন। আত্মাভুক মানুষরা একে অপরের গায়ে ছুঁচ ফোঁটায়। কালো টাকা তালের কাকতালীয় স্বভাবের পরীক্ষায় পাশ ফেল প্রথা ফিরে আসে। পুঁথিমান্য পৃথিবীর সমুদ্রে যাবতীয় নোংরা জমার শেষ দিন গননা করছে ছাত্ররা। কাটা মুরগীর মতো ধড়ফড় করে ফুলের টব গুলো। মৃত্যুর পর তাদের সাপগুলো বেরিয়ে খবরকাগজে চলে যায় সোজা। সাপুড়েদের উপর রাগ ছিল যাদের তারা জানে কে কোথায় হাফলুঙ্গি পুরীদীঘা করে।


মাছেরা কাদার সমাহারে


ঠ্যাং ভাঙা দোয়েলের কাছে বাঁশিওয়ালার ছেলে বাঁশিওয়ালা সাধারণ নাপিতের গল্প গচ্ছিত রাখে। চাঁদের গহ্বরে আটক কাদামাছ।  খাবি খাওয়ার অভিনয় করি। চাঁদের ধুলো রেগোলিথ আমাকে ছাড়া বাঁচবে না। হাজার বছর আগেকার মৃত কঙ্কাল গাছের সারি। পায়ের তলায় বালি। আনন্দ জাগে। বালিকণা গান গায়। তারা তো সাক্ষী পতঝড়ের। তারা জানে শুভ সংখ্যার কাছে বয়স গচ্ছিত। এই ছুতো করে পালক কুড়োনোর অপবাদ এসে পড়ে। বমি ও রক্ত একসঙ্গে অংকের চৌবাচ্চা ভরেছে। লোমকূপ দিয়ে হু হু করে বালি ঢুকছে শরীরে।

2 comments:

সম্পাদকীয়

পীযূষকান্তি বিশ্বাস দেহলিজ ফিরেছে পঞ্চম সংখ্যা হয়ে । দিল্লির নিজস্ব রঙে । ফিরে এসেছে ভাইরাস আর প্রতিহিংসার প্রচ্ছদে । তার উপরে এমন এক...